মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪, ০১:৩৫ অপরাহ্ন

আইন প্রণয়নে আগ্রহ কম সরকারের

আইন প্রণয়নে আগ্রহ কম সরকারের

স্বদেশ ডেস্ক:

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সংবিধানে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা রয়েছে; কিন্তু স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি হতে চললেও এর মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি- কোনো সরকারই সেপথে হাঁটেনি। বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি। আসন্ন নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ইস্যুতে এবারও সার্চ কমিটি গঠনে বেশি আগ্রহী সরকার।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহ্দীন মালিক আমাদের সময়কে, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করা কঠিন কিছু নয়। দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, নেপালসহ প্রতেকটি দেশে এই আইন আছে। সরকার চাইলে এক সপ্তাহের মধ্যে এই আইনের খসড়া করতে পারে; কিন্তু গত ৫০ বছরে কোনো সরকারই চায়নি। বর্তমান সরকারও এই সময়ে এসে চাইবে- এই ভরসা করাও যায় না। কারণ আইন হয়ে গেলে নিজের খেয়ালখুশি মতো নির্বাচন কমিশন গঠন করা দুরূহ হবে। অতএব আইন করা দরকার। আইনের বাইরে গিয়ে তথাকথিত সার্চ কমিটি গঠনের যে পদ্ধতি চালু হয়েছে, সেটি সংবিধান অনুয়ায়ী হচ্ছে না। আইন করতে হবে; কিন্তু সরকার ইচ্ছে মতো লোক নিয়োগ দিতে গেলে আইনটা বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এ জন্য সরকার আইন করতে চাইবে না। এখন যেভাবে চলছে আইনের বাইরে, আমার আশঙ্কা তেমনই চলবে।’

নতুন কমিশন গঠন বিষয়ে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের (১) ধারায় বলা আছে- ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে লইয়া বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান করিবেন।’ সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের (১) অনুযায়ী আইন প্রণয়ন না করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে একটি রিট করা হয়েছিল। উচ্চ আদালত রিটের জবাবে রুলও দেন। নতুন নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে শুক্রবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আমাদের সময়কে বলেন, ‘যেভাবে মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশ মোতাবেক নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়ে থাকে, এবারও সেভাবেই হতে পারে। এর বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আইন প্রণয়ণের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি মন্ত্রী।’

সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের (৩) ধারা অনুযায়ী কোনো নির্বাচন কমিশনারের পদের মেয়াদ তার কার্যভার গ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছর হবে। বর্তমান কেএম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শপথগ্রহণের পর দায়িত্ব পালন শুরু করে। সে হিসাবে আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের মেয়াদ রয়েছে। এর পরই নতুন কমিশন দায়িত্ব নেবে। এ ক্ষেত্রে চলতি বছরের শেষ ভাগেই ইসি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

দেখা গেছে নির্বাচন কমিশন গঠন ইস্যুতে রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটি ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হলেও কমিশন গঠনের পর সরকারবিরোধীদের খুব একটা উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি। এমন বাস্তবতায় আসন্ন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা-পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। দৃশ্যমান কোনো প্রক্রিয়া শুরু না হলেও ইসি গঠন নিয়ে রাজনীতিতে যে বাড়তি উত্তাপ ছড়াবে, তা দলগুলোর মনোভাব দেখেই বোঝা যাচ্ছে। দেশের সরকার পরির্তনের বৈধ পদ্ধতিই হচ্ছে ভোট। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন ইসির অধীনে অনুষ্ঠিত হবে।

যদিও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দিক থেকে বলা হচ্ছে- বর্তমান কমিশনের মেয়াদ আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। এই নিয়ে তারা তাড়াহুড়া করতে চান না। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের কথাবার্তায় বোঝা যাচ্ছে, দলটির আস্থা সার্চ কমিটির ওপরই। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আমাদের সময়কে বলেন, ‘অতীতের মতো স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে অনুসরণ করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।’

অপর দিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান করলে ইসি গঠন ইস্যুতে রাষ্ট্রের অভিভাবক রাষ্ট্রপতিকে তারা তাদের প্রস্তাব চিঠি আকারে দেবে। দেশের সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে দলটি নির্বাচন পদ্ধতির একটি স্থায়ী সমাধান চায়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। যদি আগের পদ্ধতি অনুসরণ করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়, তা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। আমরা চিন্তা করছি, সময় মতো রাষ্ট্রপতিকে আমাদের প্রস্তাব দেব। আমাদের অবশ্যই এখানে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সংসদ তৈরি করে সরকার গঠন করতে হবে। তার জন্য নির্বাচনকালীন একটা সরকার ও একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।’

দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের এমন মনোভাবের মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ইস্যুতে বিদেশি দাতা সংস্থা ও রাষ্ট্রগুলোর পাশাপাশি দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদেরও আগ্রহের কমতি নেই। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ইস্যুতে বিশিষ্ট নাগরিকরা বলছেন, আইন না থাকায় ইসি গঠনের পুরো সুফল পাবে সরকার। তারা বর্তমান নির্বাচন কমিশনও একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত। এই কমিশনের অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন কতটা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে তা নিয়ে বড় প্রশ্ন রয়েছে। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ড. শাহ্দীন মালিক বলেন, ‘গত নির্বাচন যেভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। তেমনই হবে। কারণ নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রশ্ন থাকলে সেই কমিশন দ্বারা অনুষ্ঠিত নির্বাচনও গ্রহণযোগ্য হবে না। অর্থাৎ আমার এখন যেমন নামে গণতন্ত্র কাজে নেই- এরকমই হয়তো সরকার করতে চেষ্টা করবে; কিন্তু এরকম করা শেষ পর্যন্ত সরকারের জন্য ভালো নয়, দেশের জন্য ভালো নয়, জনগণের জন্যও ভালো নয়।’

২০১২ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান নির্বাচন কমিশন গঠন করতে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চার সদস্যের সার্চ কমিটি করেছিলেন। ওই কমিটিতে আপিল বিভাগের তৎকালীন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন প্রধান ছিলেন। ওই সার্চ কমিটির কাছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগসহ ২৩টি দল নাম পাঠিয়েছিল; কিন্তু বিএনপিসহ ১৬টি দল সার্চ কমিটির বিরোধিতা করে নাম প্রস্তাব থেকে বিরত থাকে। সেবার নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার দাবিতে বিএনপি ও তাদের জোট আন্দোলন করে।

২০১৭ সলে নতুন কমিশন গঠনে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও একই ফর্মুলা অনুসরণ করেন। তবে সুশীলসমাজের প্রতিনিধি এবং নারী প্রতিনিধি হিসেবে দুজনকে অন্তর্ভুক্ত করে ৬ সদস্যের কমিটি করে। এই কমিটি করার আগে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ৩১টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করেন রাষ্ট্রপতি। যদিও সার্চ কমিটি ঘোষণার পর কয়েক সদস্যের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল বিএনপি। এর পরও সার্চ কমিটিতে তাদের নামের তালিকা পাঠায়। সব রাজনৈতিক দলের তালিকা থেকে সার্চ কমিটি ১০ জনের নামের তালিকা রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে তুলে দেয়। ওই তালিকা থেকে সাবেক সচিব কেএম নূরুল হুদাকে প্রধান করে নতুন ইসি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি।

আইনজ্ঞ ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে বর্তমান কমিশন হয়েছিল এবং আগামী কমিশনও একই প্রক্রিয়ায় হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে; কিন্তু এই ক্ষেত্রে আইন বা বিধি নেই। তাদের মতে, প্রজ্ঞাপন দিয়ে আইনের উদ্দেশ্য পূরণ হয় না। এ প্রসঙ্গে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহ্দীন মালিক বলেন, গত দুবার সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই সার্চ কমিটি করা হয়েছে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে অর্থাৎ সরকারি আদেশের মাধ্যমে। আইনের দৃষ্টিতে এটা গ্রহণযোগ্য নয়। সংবিধানে বলা হয়েছে, সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন। আইন করে যে ব্যবস্থা করা হবে, তার বাইরে যে কোনা ব্যবস্থা সংবিধানের সাথে পরিপন্থী।

অতএব, আগামী নির্বাচন কমিশন গঠন করার আগে এ সংক্রান্ত আইন করতে হবে। আইনে বলা থাকতে হবে- কারা কমিশনার হবেন, তাদের ন্যূণতম যোগ্যতা কী থাকতে হবে এবং সে অনুযায়ী আইনের দ্বারা গঠিত সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে তালিকা পাঠাবে।’

নির্বাচন কমিশন গঠনের অতীত পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তিন মেয়াদে (১৯৯০, ১৯৯৬ ও ২০০৭) নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে তেমন বিতর্ক হয়নি। এর বাইরে বাকি কমিশনগুলো নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এ পর্যন্ত নিয়োগ পাওয়া ১২ সিইসির মধ্যে সাতজনই ছিলেন বিচারপতি।

আওয়ামী লীগ : নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় নতুন কিছু আসবে বলে মনে করছে না আওয়ামী লীগ। দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতবৃন্দের ভাষ্য- গত নির্বাচন কমিশন যে প্রক্রিয়ায় গঠন করা হয়েছে, সেভাবেই হতে পারে। অর্থাৎ সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপ্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে সার্চ কমিটি গঠন করে দেবেন। সেই সার্চ কমিটি নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে কয়েকজনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবে। সেখান থেকেই রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের মতে, এবারও নির্বাচন কমিশন আইন হওয়ার সম্ভাবনা কম। চলমান প্রক্রিয়ার কিছু সংস্কার হতে পারে। দলটির আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘আমরা দেখেছি গত নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় গঠন করা হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ চাইলে এ বিষয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট তাদের প্রস্তাব দিতে পারেন। কারণ এটি গঠনের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। আমি মনে করি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাসহ সংশ্লিষ্ট সকল কাজ করার জন্য একটি স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন হবে। যেখানে তারা বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।

বিএনপি : বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, তারা নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। তারা মনে করে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হবে, তা নতুন নির্বাচন কমিশন দেখে কিছুটা আঁচ করা যাবে। এ কারণে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বহাল থাকা বিএনপি এখন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়কে অগ্রাধিকার দেবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হওয়ার পর দলটি রাষ্ট্রের অভিভাবক রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের প্রস্তাব চিঠি আকারে দেবে।

দলের গুরুত্বপূর্ণ এক নেতা বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিএনপি স্থায়ী একটি সমাধান চায়। সেই প্রস্তাবগুলো রাষ্ট্রপতিকে দেবে দলটি। প্রস্তাবে কী কী থাকবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এই নিয়ে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। দলীয় একটি সূত্রের দাবি- দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন যে সম্ভব নয়, তার কিছু চিত্র রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া প্রস্তাবে তুলে ধরা হতে পারে। সেই আলোকে প্রস্তাব তৈরি করা হবে। সেখানে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হবে। তবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক, তা দেশের সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে হতে হবে। দলটি মনে করে, সবার মতামতে সিদ্ধান্ত হলে নির্বাচন বিষয়ে একটি স্থায়ী সমাধান হবে।

বিএনপির নেতারা মনে করছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি মোটামুটি পূরণ হলে চলমান বৈরী রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টানোর ক্ষেত্রে একটা ভালো বার্তা দেবে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। আর যদি সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের কোনো মতামত না নিয়ে নিজেদের মতো করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে যায়, তা হলে তারা রাজপথে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেবে।

দলের গুরুত্বপূর্ণ এক নেতা বলেন, স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। নিরপেক্ষ সরকার ও নির্বাচন কমিশন দাবি পূরণ না হলে চরম সংকটে পড়বে বিএনপি। শেষ পর্যন্ত আন্দোলন নাকি ভোট বর্জন করবে, তা নিয়ে দলের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিতে পারে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877